নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: ০২:১১, নভেম্বর ১১, ২০১৫ |
গতকাল মঙ্গলবার হাইকোর্ট বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় মামলা দুটির নথি পৌঁছায়। হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার মো. সাব্বির ফয়েজ সাংবাদিকদের বলেন, সংশ্লিষ্ট শাখা এখন পেপারবুক তৈরি করবে। এরপর বিষয়টি শুনানির জন্য আদালতে উঠবে।
ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৭৪ ধারা অনুসারে, যখন দায়রা আদালত মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন, তখন মামলার নথি হাইকোর্ট বিভাগে জমা দিতে হয় এবং হাইকোর্ট নিশ্চিত না করা পর্যন্ত মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা যাবে না। এ জন্য যেসব ফৌজদারি মামলায় আসামি মৃত্যুদণ্ডাদেশ পান, ওই মামলাগুলোকে ‘ডেথ রেফারেন্স’ বলা হয়।
অবশ্য ফৌজদারি কার্যবিধির ৪১০ ধারা অনুসারে দায়রা আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আপিল করার সুযোগ আসামিপক্ষের থাকে।
সিলেটের কুমারগাঁওয়ে চুরির অপবাদে ১৪ বছরের রাজনকে পিটিয়ে হত্যার মামলায় ১৩ আসামির মধ্যে চারজনকে গত রোববার মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন সিলেটের মহানগর দায়রা জজ আদালত। এ ছাড়া একজন আসামির যাবজ্জীবন, তিনজনের সাত বছর করে এবং দুজনের এক বছর করে কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। বাকি তিন আসামিকে খালাস দেন আদালত।
ওই একই দিনে খুলনার মহানগর দায়রা জজ আদালত ১২ বছরের রাকিবকে হত্যার দায়ে তিন আসামির মধ্যে দুজনের ফাঁসির আদেশ দেন। বাকি একজনকে খালাস দেওয়া হয়।
দুটি মামলার রায়কেই বাংলাদেশের বিচারিক ইতিহাসে দ্রুততম সময়ে রায় ঘোষণার নজির হিসেবে উল্লেখ করা হচ্ছে। রাজন হত্যা মামলার কার্যক্রম শেষ হয় ১৭ কার্যদিবসে, আর ১০ কার্যদিবসে রাকিব হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হয়।
About Advocate REAGAN
0 comments:
Post a Comment